কঙ্কালের ন‍্যায় দেবীর গঠন তিনি কঙ্কালেশ্বরী : ঐতিহ‍্য এর কালী আরাধনা

8th November 2020 9:58 am বর্ধমান
কঙ্কালের ন‍্যায় দেবীর গঠন তিনি কঙ্কালেশ্বরী : ঐতিহ‍্য এর কালী আরাধনা


পিন্টু প‍্যাটেল ( বর্ধমান ) :   দুর্গাপুজো শেষ হতেই সামনে আসছে  কালি পুজো । কিন্তু এবারে করোনা আবহে সরকারি নির্দেশকে মান‍্যতা দিয়েই যেভাবে দুর্গাপুজো হয়েছে মন্ডপের ভেতরে প্রবেশে বাঁধা ছিলো।ঠিক একই রকমভাবে  কালি পুজোতেও সরকারি নির্দেশিকা জারি রয়েছে এখানেও পুজো মন্ডপে দর্শনার্থীদের ঢোকা যাবে না । পূর্ব বর্ধমান জেলার শহর বর্ধমানের কাঞ্চননগর রথতলা শাঁঁখারীপাড়া এলাকায় মা কঙ্কালেশ্বরী  দেবী মূর্তি রয়েছে । খুব প্রাচীন এই মূর্তি । অদ্ভুত এই  কালীমূর্তি, এটি একটি  অষ্টভুজা  চামুণ্ডা  মূর্তি। মায়ের নিত‍্য সেবাইত শঙ্কর চক্রবর্তী  জানান এটি ১৩২৩ বঙ্গাব্দে দামোদর নদীগর্ভে পরমানন্দ পরিব্রাজক এক সাধক স্বপ্নাদেশে এই মাকে পান। তারপর বর্ধমানের রাজা এই মূর্তিটি এখানে প্রতিষ্ঠা করে দিয়ে যান । আরও বলেন কঙ্কাল আকার কালির সাথে সাদৃৃশ‍্য আছে তাই কঙ্কালেশ্বরী নাম হয়েছে । উচ্চতা  প্রায়  ১.৮ মিটার। কালীর  এই  চামুণ্ডা  মূর্তিটি  অনেকে  বৌদ্ধ  চামুণ্ডার  রূপ  বলেন।  আবার  অনেকের  মতে  এটি  বৌদ্ধ  আমলে  তৈরি।  মূর্তিটি  দেখলে  মনে  হবে  পাথরের  উপরে  মানুষের  দেহের  যেন  কঙ্কাল-রূপ।  কঙ্কালসার  মূর্তিতে  মানব  দেহের  শিরা - উপশিরা- ধমনীর  প্রত্যেকটি  খুব  নিখুঁতভাবে  খোদাই  করা।  যে  শিল্পী  পাথরের  উপর  এই  মূর্তি  খোদায়  করেছিলেন  তাঁর  মানব  দেহ  সম্পর্কে  নিশ্চয়ই  গভীর  জ্ঞান  ছিল।  তা  না  হলে  এই  রকম  মূর্তি  খোদাই  করা  সম্ভব  হত  না।  মূর্তির  গলায়  নরমুন্ডের  মালা।  কালো  পাথরের  খোদাই  করা  এই  মূর্তির  পদতলে  শায়িত  অবস্থায়  আছেন  মহাদেব।  মূর্তির  উপরে  ডান  দিকে  আছে  হস্তি  মুণ্ড।  মূর্তির  নিচে  ডান  দিকে  আছে   এক  উলঙ্গ  পুরুষের  কাঁধে  শবদেহ।  বাঁ  দিকে  এক  নগ্ন  নারী  মূর্তি।  মায়ের  এই  ভয়ঙ্কর  রূপ  দেখে  ভক্তরা  ভয়ার্ত  চিত্তে  মাকে  ভক্তি  জানায়। স্থাপত্য  শিল্পের  দিক  থেকে  মা  কঙ্কালেশ্বরী  মূর্তি  অপূর্ব। এখানে  উল্লেখ্য,  এই  মূর্তির  বাঁ  দিকে  আছে  আর  একটি  চামুন্ডা  মূর্তি।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।